Showing posts with label #photography. Show all posts
Showing posts with label #photography. Show all posts

Tuesday, 25 July 2017

জীববৈচিত্র্য 01

 ( collected ) 


             'জীববৈচিত্ৰ্য' ( ইংরেজি : Biodiversity ) জীবিত প্ৰজাতির বৈচিত্ৰ্যতা এবং তাদের বাস করা জটিল পরিবেশ তন্ত্ৰের বিষয়ে আভাষ দেয় । অতি শুষ্ক মরুভূমি থেকে ক্ৰান্ত্ৰীয় বৃষ্টিপ্রবণ অরণ্য পর্যন্ত , বরফে আবৃত কঠিন পৰ্বত থেকে সাগরের গভীরে বিস্তৃত হয়ে থাকা বিভিন্ন প্ৰজাতির জীবজগতের রং , আকৃতি , আকার ইত্যাদির বিভিন্নতা থাকা সত্বেও প্ৰাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট না করে জীবন ধারণ করে আসছে৷ আমেরিকার জীব বিজ্ঞানী ই.এ.নরসে ( E.A.Norse ) এবং তার সহযোগীদের সূত্ৰ অনুযায়ী জৈব বৈচিত্ৰ্য হল জল , স্থল সকল জায়গায় সকল পরিবেশে থাকা সকল ধরণের জীব এবং উদ্ভিদের বিচিত্ৰতা ৷ পৃথিবীর 10 বিলিয়ন ভাগের একভাগ অংশতেই 50 মিলিয়ন প্ৰজাতির বিভিন্ন জীব-জন্তু এবং উদ্ভিদের বসবাস ।


শ্রেণি বিভাজন :- 
              জৈব বৈচিত্ৰ্যকে প্ৰধানত তিনিটা ভাগে বিভক্ত করা যায়-

i) জিনীয় বৈচিত্ৰ্য (Genetic diversity) :- 
                জিন জৈব বৈচিত্ৰ্যের মূল উৎস৷ যা জৈবিক এককে পিতৃ-মাতৃ গুণাগুণ একটা জন্তু থেকে অন্য একটা জন্তুতে বয়ে নিয়ে যায় তাই জিন ৷ বংশগতির বাহক জিনের সংমিশ্ৰণের ফলে একেক প্ৰজাতির জীবের মধ্যে যে জৈবিক বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয় তাক জিনীয় বৈচিত্র্য বলে । 

ii) প্ৰজাতি বৈচিত্ৰ্য (Species diversity) :- 
                  এই ধরণের বিভিন্নতা একটা প্ৰজাতির অথবা বিভিন্ন প্ৰজাতির অন্তৰ্গত সদস্য সমূহের মধ্যে দেখা যায় ৷ বিজ্ঞানী উইলসনের (Wilson 1992) মতে বিশ্ব এ 10 মিলিয়নের থেকে 50 মিলিয়ন জীবিত প্ৰজাতি আছে ৷ তবে কেবল 1.5 মিলিয়ন জীবিত প্ৰজাতির এবং 3,00,000 জীবাষ্ম প্ৰজাতি আবিষ্কার করে নামকরণ করা হয়েছে ৷ ইতোমধ্যে বহু প্ৰজাতির প্ৰকৃতির সাথে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারায় বিলুপ্তি ঘটেছে ৷ প্ৰজাতি বৈচিত্ৰতা নিৰ্ণয় করার জন্য দুটা সূচক (Index) ব্যবহার করা হয় - a) শেন'ন উইনার সূচক (Shannon Wiener Idex) এবং b) সিম্পসন সূচক (Simpson Index)৷

iii) বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্ৰ্য (Ecosystem diversity) :- 
             পরিবেশের ওপর নিৰ্ভর করে বিভিন্ন পরিবেশ তন্ত্ৰে বাস করা জৈব সম্প্ৰদায় সমূহের মধ্যে যে জৈবিক বৈচিত্ৰ্যের সৃষ্টি হয় তাকে  পরিবেশীয় বৈচিত্ৰ্য বলে ৷ পরিবেশের বিভিন্ন ভৌতিক উপাদান , যেমন - আদ্ৰতা , উষ্ণতা , দ্ৰাঘিমাংশ , অক্ষাংশ ইত্যাদি জৈবিক বৈচিত্ৰ্যের সৃষ্টি করতে পারে ৷ হুইটেকার(Whittaker)1972 সালে বাস্তুতান্ত্রিক জীববৈচিত্র্যের নির্ধারণের তিনটি সূচক প্রস্তাব করেছেন। এই সূচকগুলি হল- ১) আলফা বৈচিত্র্য; ২) বিটা বৈচিত্র্য; ৩)গামা বৈচিত্র্য 

Monday, 24 July 2017

ফটোগ্রাফি টিপস 03

( collected )

            আলো বা অন্য কোনো রকম তড়িচ্চুম্বকীয় বিচ্ছুরণকে (electromagnetic radiation) কাজে লাগিয়ে টেঁকসই ছবি সৃষ্টি করার যে শিল্প, বিজ্ঞান ও পদ্ধতি—তাকে বলে আলোকচিত্রশিল্প (ইংরেজি ভাষায়: Photography)। আলোকচিত্রগ্রাহী ফিল্ম জাতীয় আলোক-সংবেদনশীল বস্তুর মাধ্যমে রাসায়নিক পদ্ধতিতে অথবা কোনো ইমেজ সেন্সরের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে ফটোগ্রাফ তোলা সম্ভব। ক্যামেরার ভিতর একটি আলোক-সংবেদনশীল তল থাকে। সাধারণত, লেন্সের মাধ্যমে কোনো বস্তু থেকে প্রতিফলিত বা নিঃসৃত আলো কেন্দ্রীভূত করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের অনাবৃতকরণে (exposure) ওই তলে বস্তুর একটি যথার্থ ছবি (real image) ধরা হয়। একটি বৈদ্যুতিক চিত্র অনুধাবকে (image sensor) এর ফল হয়, প্রতি পিক্সেলে একটি বৈদ্যুতিক আয়ন। এটি একটি বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিণতিলাভ করে এবং পরবর্তী প্রদর্শন বা প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি দ্বিমিক চিত্র ফাইলে সঞ্চিত হয়। আলোকচিত্রগ্রাহী রঞ্জকস্তরে (photographic emulsion) এর ফলে একটি সুপ্ত চিত্র (latent image) তৈরি হয়। এটি পরে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত (photographic development) হয়ে একটি দৃশ্যমান চিত্রে পরিণত হয়। এই দৃশ্যমান চিত্রটির আলোকচিত্রগত উপকরণ ও প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি অনুযায়ী হয় নেগেটিভ বা পজিটিভ হয়ে থাকে। প্রথাগতভাবে, ফিল্মে একটি নেগেটিভ চিত্র থেকে কাগজে পজিটিভ চিত্র তৈরি হয়। এটিকে বলে মুদ্রিত আলোকচিত্র (photographic print)। পরিবর্ধক (Enlarger) বা সংস্পর্শ মুদ্রণ (Contact printing) পদ্ধতিতে এটি করা হয়।

              ব্যবসা, বিজ্ঞান, উৎপাদন যেমন আলোকপ্রস্তর চিত্রলিখন (Photolithography ), শিল্প, বিনোদন ও গণমাধ্যম শিল্পে আলোকচিত্রশিল্পের ব্যবহার দেখা যায়।

               ক্যামেরা হল "ইমেজ-ফর্মিং ডেভাইস" বা ছবি তোলার যন্ত্র এবং ফটোগ্রাফিক ফিল্ম বা একটি সিলিকন ইলেকট্রনিক ইমেজ সেন্সর হল "সেন্সিং মিডিয়াম" বা ছবি ধরে রাখার মাধ্যম। রেকর্ড করার মাধ্যমটি হল যথাক্রমে ফিল্ম বা ডিজিট্যাল ইলেকট্রনিক বা ম্যাগনেটিক মেমরি।

                ফটোগ্রাফার ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করেন। লেন্সের মাধ্যমে আলোক রেকর্ডিং উপকরণের (যেমন ফিল্ম) উপর যথাযথ পরিমাণ আলো ফেলে "ল্যাটেন্ট ইমেজ" (ফিল্মে) বা আরএডব্লিউ ফাইল (ডিজিট্যাল ক্যামেরায়) প্রস্তুত করা হয়। যেগুলি সঠিক প্রসেসিং-এর পরে ব্যবহারযোগ্য ছবিতে পরিণত হয়। ডিজিট্যাল ক্যামেরা চার্জ-কাপলড ডেভাইস (সিসিডি) বা কমপ্লিমেন্টারি মেটাল-অক্সাইড-সেমিকনডাকটর (সিএমওএস) প্রযুক্তি জাতীয় আলোক-সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্স-ভিত্তিক এক ধরনের ইলেকট্রনিক ইমেজ সেন্সর ব্যবহার করে। তার ফলে ডিজিট্যাল ইমেজ বৈদ্যুতিক পদ্ধতিতে সঞ্চিত হয়। কিন্তু তাকে কাগজ বা ফিল্মেও ধরে রাখা যায়।

              ক্যামেরা (বা 'ক্যামেরা অবস্ক্যুরা') হল একটি ডার্করুম বা চেম্বার। এর মধ্যে যেটুকু আলো ছবি তৈরি করে সেটুকু বাদ দিয়ে অন্য আলো যথাসম্ভব বাদ দেওয়া হয়। অবশ্য যে বস্তুটির ফটোগ্রাফ নেওয়া হচ্ছে, সেটির উপর আলো পড়া জরুরি। ক্যামেরা ছোটো থেকে অতি বড়ো সব রকমই হতে পারে। যে ঘরে ক্যামেরা সেই ঘরটি অন্ধকারে রেখে অন্য একটি ঘরে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা করে বস্তুর ছবি তোলা যায়। বড়ো ফিল্ম নেগেটিভ ব্যবহার করে ফ্ল্যাট কপির রিপ্রোডাকশন ফটোগ্রাফি করার সময় এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ।

               মুভি ক্যামেরা হল একধরনের ফটোগ্রাফিক ক্যামেরা যা খুব দ্রুত ফিল্মের স্ট্রিপের উপর ধারাবাহিক ফটোগ্রাফ তুলে যায়। স্টিল ক্যামেরায় একেবারে একটিই ফটো তোলা যায়। কিন্তু মুভি ক্যামেরা পরপর ছবি তুলে যায়। প্রতিটি ছবিকে বলে ফ্রেম। একটি ইন্টারমিটেন্ট মেকানিজম দ্বারা একটি করা হয়। ফ্রেমগুলি পরে একটি মুভি প্রোজেক্টরে নির্দিষ্ট গতিতে চালানো হয়। এই গতিকে বলে "ফ্রেম রেট" (এক সেকেন্ডে প্রদর্শিত ফ্রেমের সংখ্যা)। দেখার সময়, একজন ব্যক্তির চোখ ও মস্তিষ্কে প্রতিটি আলাদা ছবি একসঙ্গে মিশে গতির দৃষ্টিবিভ্রম সৃষ্টি করে।

ক্যামেরা কন্ট্রোল :-
             কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্যামেরা ছাড়া সব ক্যামেরাতেই, ব্যবহারযোগ্য এক্সপোজার পাওয়ার পদ্ধতিটি স্বয়ংচালিত অথবা ব্যবহারকারীচালিত কয়েকটি কনট্রোলের ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল। এর মাধ্যমে ফটোগ্রাফটি পরিষ্কার, স্পষ্ট ও যথাযথভাবে আলোকপ্রাপ্ত অবস্থায় তোলা সম্ভব হয়। কনট্রোল অনেক রকমের হয়। তার মধ্যে নিম্নলিখিত কনট্রোলগুলি প্রধান:

ফোকাস :-
              দৃশ্যমান বস্তুর অবস্থান বা পরিষ্কার ছবি তোলার জন্য অপটিক্যাল যন্ত্রের প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ: ইন ফোকাস, আউট অফ ফোকাস।

অ্যাপার্চার :-
             লেন্স ওপেনিং-এর এফ-নাম্বার দ্বারা পরিমিত নিয়ন্ত্রণ। লেন্সের মধ্যে কতটা আলো ঢুকবে তা এই অ্যাপারচার নিয়ন্ত্রণ করে। ডেপথ অফ ফিল্ড ও ডিফ্র্যাকশনের উপরেও অ্যাপারচার প্রভাব বিস্তার করে –এফ-নাম্বার যত বেশি হবে, ওপেনিং যত ছোটো হবে, যত কম আলো ঢুকবে, ডেপথ অফ ফিল্ড তত বাড়বে, এবং ডিফ্র্যাকশন ব্লারও তত বাড়বে। এফ-নাম্বার কর্তৃক বিভাজিত ফোকাল লেন্থ কার্যকর অ্যাপারচার ডায়ামিটার নির্ধারণ করে।

শাটার স্পিড :-
            শাটারের গতি (এটি অনেক সময় সেকেন্ডের বিভাগ বা মেকানিক্যাল শাটারের ক্ষেত্রে কোণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়) এর মাধ্যমে প্রতিটি এক্সপোজারে ইমেজিং মাধ্যমটি কতক্ষণ আলোয় প্রকাশিত অবস্থায় থাকবে তা নির্ধারণ করা হয়। ইমেজ প্লেনের উপর নিক্ষিপ্ত আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও শাটার স্পিড ব্যবহার করা হয়। 'দ্রুততর' শাটার স্পিড (অর্থাৎ, কম সময়ে তোলা) আলোর পরিমাণ এবং বিষয়বস্তু বা ক্যামেরার সঞ্চালনজনিত ইমেজ ব্লারিং-এর পরিমাণও হ্রাস করে।

হোয়াইট ব্যালেন্স :-
             ডিজিট্যাল ক্যামেরায়, কালার টেম্পারেচারের জন্য বৈদ্যুতিক ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দিষ্ট আলোর শর্ত দেওয়া থাকে। এতে সাদা আলো ইমেজিং চিপে রেজিস্টার্ড হয়ে থাকে এবং তাই ফ্রেমের রংগুলিকে স্বাভাবিক মনে হয়। মেকানিক্যাল, ফিল্ম-ভিত্তিক ক্যামেরায় এই কাজটি করে ব্যবহারকারী কর্তৃক নির্বাচিত ফিল্ম স্টক অথবা বা কালার কারেকশন ফিল্টার। এর সঙ্গে হোয়াইট ব্যালান্সের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ছবির প্রাকৃতিক রং রেজিস্টার করতে ফটোগ্রাফারেরা হোয়াইট ব্যালান্সের চূড়ান্ত নান্দনিক প্রয়োগ ঘটাতে পারেন। যেমন নীল বস্তুর হোয়াইট ব্যালান্সিং-এর মাধ্যমে উষ্ণ কালার টেম্পারেচার পাওয়া যায়।

মিটারিং :-
            এক্সপোজারের পরিমাপ এর ফলে ফটোগ্রাফারের ইচ্ছা মতো হাইলাইট ও শ্যাডোর ব্যবহার করা যায়। অনেক আধুনিক ক্যামেরায় মিটার আর এক্সপোজার নির্ধারণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। স্বয়ংক্রিয় এক্সপোজারের আগে সঠিক এক্সপোজারটি পাওয়া যায় একটি পৃথক লাইট মিটারিং যন্ত্রের মাধ্যমে অথবা সঠিক সেটিং সম্পর্কে ফটোগ্রাফারের জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে। আলোর পরিমাণকে ব্যবহারযোগ্য অ্যাপারচার ও শাটার স্পিডে ধরতে মিটারকে ফিল্ম বা সেন্সরের আলোক-সংবেদনশীলতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। এটি করা হয় মিটারের মধ্যে "ফিল্ম স্পিড" বা আইএসও সেন্সিটিভিটির মাধ্যমে।

ISO স্পীড :-
           প্রথাগতভাবে ফিল্ম ক্যামেরায় নির্বাচিত ফিল্মে ফিল্ম স্পিড "বলে দিতে" হত। আইএসও স্পিড ব্যবহার করা হয় আধুনিক ডিজিট্যাল ক্যামেরায়। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক্সপোজার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আইএসও সংখ্যা বেশি হয় ফিল্মের আলোক-সংবেদনশীলতা বাড়ে, সংখ্যা কম হলে সংবেদনশীলতা কমে। আইএসও স্পিড, অ্যাপারচার ও শাটার স্পিডের সঠিক মেলবন্ধনের ফলে ছবি বেশি কালো বা বেশি উজ্জ্বল দেখায় না, ফলে সেটি কেন্দ্রীভূত মিটারের দৃষ্টিতে 'সঠিকভাবে এক্সপোজড' মনে হয়।

অটো ফোকাস পয়েন্ট :-
            ইমেজিং ফ্রেমের একটি বিন্দুর নির্বাচন। এটি কোনো কোনো ক্যামেরায় থাকে। এর মাধ্যমে অটো-ফোকাস ব্যবস্থা ফোকাস করার চেষ্টা করে। অনেক সিঙ্গল-লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরায় (এসএলআর) ভিউফাইন্ডারে একাধিক অটোফোকাস পয়েন্ট থাকে।

              ছবি তোলার অন্য অনেক উপকরণ ফটোগ্রাফের মান ও নান্দনিক দিকটিকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে আছে:

           ফোকাল লেন্থ ও টাইপ অফ লেন্স (নর্ম্যাল, লং ফোকাস, ওয়াইড অ্যাঙ্গল, টেলিফটো, ম্যাক্রো, ফিশআই, অর জুম)।

             ফিল্টার বিষয়বস্তু ও আলোক-রেকর্ডিং উপকরণের মধ্যে রাখা হয়। এটি হয় লেন্সের সামনে নয় পিছনে থাকে।

              আলোর শক্তি ও রং/তরঙ্গদৈর্ঘ্য মাধ্যমের অন্তর্নিহিত সেন্সিটিভিটি।

               আলোক রেকর্ডিং উপকরণের প্রকৃতি।

ফটোগ্রাফি টিপস 02

( collected )

i) সাধারণ লেন্সে জুমের সাথে সাথে অ্যাপার্চারের পরিবর্তন করতে হবে ; dslr ক্যামেরা কিনলে তার সাথে সাধারণত একটি কিট লেন্স দেওয়া হয় । যা অত্যন্ত কম দামের এবং কিছুটা নিম্ন মানের । তবে ছবি তোলার জন্য যথেষ্ট । যখনই জুমের পরিবর্তন করা হয় তখনই এর অ্যাপার্চার সেটিং পরিবর্তিত হয়ে যায় । তাই প্রয়োজন মতো জুম করার পর সেই অনুযায়ী অ্যাপার্চার পরিবর্তন করে নিতে হবে ।

ii) uv ফিল্টার :- প্রতিটি লেন্সের জন্য আলাদা uv ফিল্টার রাখা উচিত । কেননা এটি অতিবেগুনী রশ্মির কারণে ছবির ডিস্টরশনের হাত থেকে বাঁচাবে এবং লেন্সকে দাগের হাত থেকে রক্ষা করবে । uv ফিল্টারের দাম লেন্সের চেয়ে অনেক কম । আর তাই প্রতিটি লেন্সের জন্য আলাদা uv ফিল্টার রাখাই যায় ।

iii) RAW ফাইল ফরম্যাট :- dslr ক্যামেরা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হলে RAW ফরম্যাটে ছবি তুলতে হবে । এই ফরম্যাটে ছবি তোলার সময় ছবিতে যে প্রসেসিং এফেক্ট যুক্ত হয় , তা দূর করার সুযোগ থাকে । যেমন - ক্যামেরা সেটিংয়ে যদি কোনো ত্রুটি থাকে তবে RAW editor দিয়ে তা দূর করা সম্ভব ।

iv) ফোকাস :- ছবি তোলার সময় সঠিক ফোকাস সেট করা গুরুত্বপূর্ণ । অধিকাংশ সময়ই যা সম্ভব হয় না । এবং ছবি যতটা স্পষ্ট হওয়া উচিত ততটা হয় না । বিশেষ করে দ্রুত ছবি তুলতে গেলে এটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে । প্রথম ছবিটি তুলে জুম ইন করে দেখলেই বোঝা যাবে ফোকাস ঠিক আছে কিনা ।

v) ছবি তুলতে কার্পণ্য ছাড়ুন ; নিখুঁত ছবি তোলার চাবিকাঠিই হল প্রচুর ছবি তোলা । আর এই জন্যই ছবি তুলতে কার্পণ্য না করাই ভালো ।

            অনেক সময় দেখা যায় লেন্সের মধ্য দিয়ে তাকানোর পর লক্ষ্যবস্তু প্রত্যাশিত স্থানে থাকে না । এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় আধা ডজন বা তারও বেশি ছবি নেওয়া ভালো । যদিও বেশিরভাগই এখান থেকে বাদ পড়ে যাবে , তার পরও এতে ভালো ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ।

vi) তুলনামূলক কম দামি 50 mm f/1.7 বা f/1.8 লেন্স :- যে dslr ই কেনা হোক না কেন সবগুলোর জন্যই 50 mm f/1.7 বা f/1.8 লেন্স রয়েছে । এই লেন্স গুলোর দামও কম । কিন্তু ডেপথ অব ফিল্ড এবং লো লাইট সেটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেবে যা অন্য লেন্সে পাওয়া যায় না ।

vii) সব ধরনের সেটিং ও মোড ব্যবহার করে ছবি তুলুন ; কোনো সেটিং বা মোড সম্পর্কে না জানা থাকলে প্রত্যেক মোড ও সেটিং ব্যবহার করে কয়েকটি ছবি তুলে পরীক্ষা করা যেতে পারে কোন ছবিটি ভালো লাগে । সেই সেটিং বা মোডটি ভবিষ্যতে আরও ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে ।

viii) শাটার ও অ্যাপার্চার মোডের ব্যবহার :- নতুন ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহারকারীর জন্য ম্যানুয়াল শুটিং মোডের ব্যবহার শেখা একটু কঠিন হতে পারে । এই কাজটি আরও সহজে করার জন্য shutter priority এবং aperture priority মোড ব্যবহার করতে হবে । এই মোড দুটি সেমি-অটো ও সেমি-ম্যানুয়াল মোড এবং উভয় মোডই ক্যামেরার সর্বোত্তম ব্যবহার শিখতে সাহায্য করবে ।

ix) white balance :- ডিজিটাল ক্যামেরায় white balance নামে এক ধরনের সেটিং রয়েছে , যে কোনো ধরনের আলোক অবস্থায় ছবিতে স্বাভাবিক রং প্রদান করে । এর মধ্যে অটো এবং ফ্লাশ থেকে শুরু করে ডেলাইট এবং ক্লাউডি পর্যন্ত সবই রয়েছে । কোনটি ভালো কাজ করে তা দেখার জন্য বিভিন্ন আলোক অবস্থায় এগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে ।

x) পুরানো ব্যবহার করা dslr কেনার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে । প্রথম dslr ক্যামেরা কেনার সময় টাকা বাঁচানোর ভালো উপায় হচ্ছে কমদামী ক্যামেরা বা হ্রাসকৃত মূল্যের ক্যামেরা ক্রয় করা । এতে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে , যা লেন্স ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে ।

                 যেহেতু গ্রামাঞ্চল জলকাদা , ধুলোবালি এবং শহরাঞ্চল ধোঁয়াশায় পরিপূর্ণ , তাই এসব থেকে ক্যামেরা দূরে রাখার চেষ্টা করা ভালো ।

                    ক্যামেরা বহন করার জন্য , ক্যামেরা কেনার সময় ব্যাগ বা ক্যামেরা রাখার খাপ কিনে নিন ।

                     জল ও তরল জাতীয় পদার্থ ক্যামেরার বড় শত্রু । বিশেষ করে সমুদ্রের নোনা জল । সমুদ্রের জল থেকে ক্যামেরা সুরক্ষিত করে তবেই সমুদ্র সৈকতে আনন্দ করুন । কেননা সমুদ্রের জলে একবার ক্যামেরা পড়ে গেলে সেটি আর কোনদিন ঠিক হয় না ।

                       ক্যামেরা ব্যবহার করার সময় রিস্ট বেল্ট হাতে বা কাঁধের সঙ্গে আটকে রাখুন । এতে ক্যামেরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে ।

                       প্রয়োজন হলে waterproof খাপ ব্যবহার করতে পারেন । বাজারে এখন অনেক waterproof ক্যামেরাও পাওয়া যায় । এই ক্যামেরা ব্যবহার করার সময় জলে পড়ে গেলেও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে ।

                      ঘন কুয়াশার মধ্যে ক্যামেরা ব্যবহার না করা ভালো । কুয়াশার জলকণা ঢুকে ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।

Saturday, 22 July 2017

ফটোগ্রাফি টিপস 1

( collected )

            ছবি তোলা একটি শখ । অনেকেই ছবি তুলতে পছন্দ করেন । তবে সবাই ভালো ফটোগ্রাফার হতে পারেন না । পরিশ্রম , মেধা আর অনুশীলনের মাধ্যমেই ফটোগ্রাফারকে তার লক্ষে পৌছাতে হয় । আজকে আমি নতুন একটি ক্যামেরা কেনার আগে আপনাকে যেসব ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে , তার কিছু টিপস দিতে চেষ্টা করব । সঙ্গে ক্যামেরার পরিচর্যা নিয়েও আলোচনা করব ।

             পছন্দ করার মতো বাজারে অনেক ব্যাণ্ডের ক্যামেরা পাবেন । আলাদা আলাদা ফিচারযুক্ত ক্যামেরা পাবেন । আপনি পেশাদার ফটোগ্রাফি বা পারিবারিক ছবি তোলার জন্যই হোক , ভালো মানের ছবি তোলার জন্য dslr ক্যামেরা সবচেয়ে উত্তম । সহজ করে বললে dslr ক্যামেরায় আপনি আপনার স্বাধীন সৃজনশীলতার ছাপ রাখতে পারবেন । আবার প্রশ্ন করতে পারেন , dslr ক্যামেরা কি ?

                dslr বা digital single lens reflex ক্যামেরা , লেন্সের মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ আলো প্রবেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে , যাতে আপনি যা দেখছেন ঠিক একই রকম ছবি পাওয়া যায় । dslr ক্যামেরার ছবি অত্যন্ত স্পষ্ট এবং চমৎকার রং বিশিষ্ট । এগুলোতে প্রাণবন্ত ছবি ওঠে এবং সূক্ষ্ম বিবরণসহ ছবির জন্য এগুলো বেশ ভালো । পোট্রেট ফটোগ্রাফির জন্যও dslr ক্যামেরা বেশ ভালো । কারন এগুলো চোখের রং , মুখের রেখা , গায়ের রং , চুলের বিন্যাসের মতো বিষয় গুলো খুব সহজেই ধারণ করতে পারে । ভালো মানসম্পন্ন ছবি তোলার জন্য এগুলোর যে কোন একটি কিনতে পারেন ।

             dslr জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি ব্র্যাণ্ড হচ্ছে ক্যানন ( canon ) ও নিকন ( nikon ) ; এই দুটি ব্র্যাণ্ডের রয়েছে অসংখ্য লেন্সের সমাহার ।

             dslr ক্যামেরা কিনতে গেলে প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ায় আপনার অর্থনৈতিক সামর্থ্য । বাজেট নির্বাচন করার জন্য আপনার চাহিদাটা আগে ভেবে নিন । কি ধরনের কাজ আপনি করতে চান ? পেশাদার ফটোগ্রাফার হতে গেলে বাজেট 50000/- এর উপরে রাখাই ভালো । আর সৌখিন পারিবারিক ক্যামেরা হলে 50000/- এর নিচেই পাবেন ক্যামেরা ।

                বেসিক কিছু ক্যামেরা মডেল কিট ( kit ) হিসাবে পাওয়া যায় , যাতে ক্যামেরা বডি ও লেন্স থাকে । কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুধু ক্যামেরা বডি কিনতে পাওয়া যায় । অর্থাৎ ক্যামেরা কেনার সময় লেন্সের দামও মাথায় রাখতে হবে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেন্সের দাম বডির চেয়ে বেশি । তবু সুযোগ মতো লেন্স বদলে নিতে পারবেন ।

              গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো হাতছাড়া করতে না চাইলে ব্যাটারির মতোই যথেষ্ট মেমরি থাকা প্রয়োজন । কিছু কিছু dslr ক্যামেরার দুটি মেমরি কার্ডের স্লট থাকে । যাতে একটি পূর্ণ হয়ে গেলে ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ মেমরি কার্ড ব্যবহার শুরু করবে । এটা বিভিন্ন শুটিং ইভেন্ট ও ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির জন্য ভালো । অতিরিক্ত মেমরি কার্ড থাকলে আপনার অসাধারণ কোন মুহূর্ত হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না ।

               ক্যামেরা ক্রয় করার পরে আপনাকে মেমরি কার্ড , লেন্সের ফ্লিটার , স্কিন প্রোটেকটর , বহনের জন্য ব্যাগ , স্ট্যাণ্ড কিনতে হবে । এই জন্য মূল ক্যামেরার বাজেটের বাইরে আপনাকে আরও হাজার চারেক টাকা যুক্ত রাখতে হবে ।

             ভালো ক্যামেরা খুঁজতে হলে আপনাকে সময় নিয়ে ক্যামেরার ফিচার গুলি পড়তে হবে । নতুন বা পুরাতন যাই কিনুন , সেটি আগে চালিয়ে বুঝে নিন আপনার কেমন লাগছে । ক্যামেরা খুঁজলে চাহিদা অনুযায়ী আপনি অনেক ক্যামেরা পাবেন । আপনার জন্য সেরা মডেল হচ্ছে সেটি , যেটি আপনার শুটিং এর ধরন ও জীবনযাত্রার সাথে মানানসই । আপনি বিয়ের অনুষ্ঠান বা পারিবারিক ছবি , যাই তুলুন না কেন , আপনার জন্য কোনো না কোনো ক্যামেরা রয়েছে । সাধারনভাবে ব্যবহারের জন্য আপনার এন্ট্রি লেভেল মডেল দরকার । এক্ষেত্রে আপনি sony dslr ব্যবহার করতে পারেন । পেশাদার ছবির জন্য canon dslr ভালো । pentax , olympus এবং fuji ব্র্যাণ্ডেরও অনেক মডেল রয়েছে । যেগুলোর সেটিংসে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে । আপনার জন্য সঠিক ক্যামেরাটি কিনতে গেলে dslr রিভিউগুলো পড়ুন ।

              ডিজিটাল ক্যামেরার কথা এলেই সবার আগে প্রশ্ন আসে ক্যামেরাটি কত মেগা পিক্সেলের । পিক্সেলের হিসাব করে ব্যবহারকারী তার ডিজিটাল ক্যামেরার মান যাচাই করতে পারেন । পিক্সেল শব্দটির অর্থ হল পিকচার এলিমেন্ট , যা ছবির অংশবিশেষ । পিক্স শব্দটি এসেছে পিকচার এবং এল শব্দটি এলিমেন্ট থেকে এসেছে । এই দুইএ মিলে পিক্সেল । ডিজিটাল ছবির ক্ষেত্রে পিক্সেল ছবিটির সবচেয়ে ছোট অংশ ।

              এই ছোট অংশ মিলেই ছবিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় । একেকটি পিক্সেল পূর্ণাঙ্গ ছবিকে আকার দেয় । তাই পিক্সেল যত বেশি হয় ছবির মান তত ভালো হয় । ডিজিটাল ছবিতে পিক্সেল দ্বিমাত্রিক গ্রিড আকারে সাজানো থাকে ।

               একটি পিক্সেল খুব ছোট ; তাই এটি খালি চোখে দেখা যায় না । ছবিকে জুম করা হলে পিক্সেল আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা যায় । একেক ধরনের স্কিন একেক ধরনের গ্রিড ব্যবহার করে । ফলে ছবির তারতম্য লক্ষ্য করা যায় । পিক্সেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মেগাপিক্সেল হিসাবে । এক মেগাপিক্সেল 10 লাখ পিক্সেল মিলে তৈরী হয় ।

Wednesday, 7 June 2017

Nature 01 2017/06/07

#আমার_চোখে #আমার_গ্রাম #nature #challenge365 #photography #eukaryota #plantae #angiosperms

Monday, 5 June 2017

Monday, 22 May 2017

Sunday, 21 May 2017