Monday, 24 July 2017

ফটোগ্রাফি টিপস 02

( collected )

i) সাধারণ লেন্সে জুমের সাথে সাথে অ্যাপার্চারের পরিবর্তন করতে হবে ; dslr ক্যামেরা কিনলে তার সাথে সাধারণত একটি কিট লেন্স দেওয়া হয় । যা অত্যন্ত কম দামের এবং কিছুটা নিম্ন মানের । তবে ছবি তোলার জন্য যথেষ্ট । যখনই জুমের পরিবর্তন করা হয় তখনই এর অ্যাপার্চার সেটিং পরিবর্তিত হয়ে যায় । তাই প্রয়োজন মতো জুম করার পর সেই অনুযায়ী অ্যাপার্চার পরিবর্তন করে নিতে হবে ।

ii) uv ফিল্টার :- প্রতিটি লেন্সের জন্য আলাদা uv ফিল্টার রাখা উচিত । কেননা এটি অতিবেগুনী রশ্মির কারণে ছবির ডিস্টরশনের হাত থেকে বাঁচাবে এবং লেন্সকে দাগের হাত থেকে রক্ষা করবে । uv ফিল্টারের দাম লেন্সের চেয়ে অনেক কম । আর তাই প্রতিটি লেন্সের জন্য আলাদা uv ফিল্টার রাখাই যায় ।

iii) RAW ফাইল ফরম্যাট :- dslr ক্যামেরা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হলে RAW ফরম্যাটে ছবি তুলতে হবে । এই ফরম্যাটে ছবি তোলার সময় ছবিতে যে প্রসেসিং এফেক্ট যুক্ত হয় , তা দূর করার সুযোগ থাকে । যেমন - ক্যামেরা সেটিংয়ে যদি কোনো ত্রুটি থাকে তবে RAW editor দিয়ে তা দূর করা সম্ভব ।

iv) ফোকাস :- ছবি তোলার সময় সঠিক ফোকাস সেট করা গুরুত্বপূর্ণ । অধিকাংশ সময়ই যা সম্ভব হয় না । এবং ছবি যতটা স্পষ্ট হওয়া উচিত ততটা হয় না । বিশেষ করে দ্রুত ছবি তুলতে গেলে এটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে । প্রথম ছবিটি তুলে জুম ইন করে দেখলেই বোঝা যাবে ফোকাস ঠিক আছে কিনা ।

v) ছবি তুলতে কার্পণ্য ছাড়ুন ; নিখুঁত ছবি তোলার চাবিকাঠিই হল প্রচুর ছবি তোলা । আর এই জন্যই ছবি তুলতে কার্পণ্য না করাই ভালো ।

            অনেক সময় দেখা যায় লেন্সের মধ্য দিয়ে তাকানোর পর লক্ষ্যবস্তু প্রত্যাশিত স্থানে থাকে না । এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় আধা ডজন বা তারও বেশি ছবি নেওয়া ভালো । যদিও বেশিরভাগই এখান থেকে বাদ পড়ে যাবে , তার পরও এতে ভালো ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ।

vi) তুলনামূলক কম দামি 50 mm f/1.7 বা f/1.8 লেন্স :- যে dslr ই কেনা হোক না কেন সবগুলোর জন্যই 50 mm f/1.7 বা f/1.8 লেন্স রয়েছে । এই লেন্স গুলোর দামও কম । কিন্তু ডেপথ অব ফিল্ড এবং লো লাইট সেটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেবে যা অন্য লেন্সে পাওয়া যায় না ।

vii) সব ধরনের সেটিং ও মোড ব্যবহার করে ছবি তুলুন ; কোনো সেটিং বা মোড সম্পর্কে না জানা থাকলে প্রত্যেক মোড ও সেটিং ব্যবহার করে কয়েকটি ছবি তুলে পরীক্ষা করা যেতে পারে কোন ছবিটি ভালো লাগে । সেই সেটিং বা মোডটি ভবিষ্যতে আরও ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে ।

viii) শাটার ও অ্যাপার্চার মোডের ব্যবহার :- নতুন ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহারকারীর জন্য ম্যানুয়াল শুটিং মোডের ব্যবহার শেখা একটু কঠিন হতে পারে । এই কাজটি আরও সহজে করার জন্য shutter priority এবং aperture priority মোড ব্যবহার করতে হবে । এই মোড দুটি সেমি-অটো ও সেমি-ম্যানুয়াল মোড এবং উভয় মোডই ক্যামেরার সর্বোত্তম ব্যবহার শিখতে সাহায্য করবে ।

ix) white balance :- ডিজিটাল ক্যামেরায় white balance নামে এক ধরনের সেটিং রয়েছে , যে কোনো ধরনের আলোক অবস্থায় ছবিতে স্বাভাবিক রং প্রদান করে । এর মধ্যে অটো এবং ফ্লাশ থেকে শুরু করে ডেলাইট এবং ক্লাউডি পর্যন্ত সবই রয়েছে । কোনটি ভালো কাজ করে তা দেখার জন্য বিভিন্ন আলোক অবস্থায় এগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে ।

x) পুরানো ব্যবহার করা dslr কেনার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে । প্রথম dslr ক্যামেরা কেনার সময় টাকা বাঁচানোর ভালো উপায় হচ্ছে কমদামী ক্যামেরা বা হ্রাসকৃত মূল্যের ক্যামেরা ক্রয় করা । এতে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে , যা লেন্স ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে ।

                 যেহেতু গ্রামাঞ্চল জলকাদা , ধুলোবালি এবং শহরাঞ্চল ধোঁয়াশায় পরিপূর্ণ , তাই এসব থেকে ক্যামেরা দূরে রাখার চেষ্টা করা ভালো ।

                    ক্যামেরা বহন করার জন্য , ক্যামেরা কেনার সময় ব্যাগ বা ক্যামেরা রাখার খাপ কিনে নিন ।

                     জল ও তরল জাতীয় পদার্থ ক্যামেরার বড় শত্রু । বিশেষ করে সমুদ্রের নোনা জল । সমুদ্রের জল থেকে ক্যামেরা সুরক্ষিত করে তবেই সমুদ্র সৈকতে আনন্দ করুন । কেননা সমুদ্রের জলে একবার ক্যামেরা পড়ে গেলে সেটি আর কোনদিন ঠিক হয় না ।

                       ক্যামেরা ব্যবহার করার সময় রিস্ট বেল্ট হাতে বা কাঁধের সঙ্গে আটকে রাখুন । এতে ক্যামেরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে ।

                       প্রয়োজন হলে waterproof খাপ ব্যবহার করতে পারেন । বাজারে এখন অনেক waterproof ক্যামেরাও পাওয়া যায় । এই ক্যামেরা ব্যবহার করার সময় জলে পড়ে গেলেও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে ।

                      ঘন কুয়াশার মধ্যে ক্যামেরা ব্যবহার না করা ভালো । কুয়াশার জলকণা ঢুকে ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।

No comments:

Post a Comment