Showing posts with label #কোণ. Show all posts
Showing posts with label #কোণ. Show all posts

Friday, 24 February 2023

কোণের সমদ্বিখণ্ডক অঙ্কন

    কোণের সমদ্বিখণ্ডক বলতে আমরা একটি সরলরেখাকে বুঝবো, যেটি প্রদত্ত কোণকে সমান দুটি ভাগে ভাগ করে। 

    আমরা প্রদত্ত কোণ, ধরি ∠ABC  এর সমদ্বিখণ্ডক অঙ্কন করতে হবে। এখন পেনসিল কম্পাস নিয়ে একটু বাড়িয়ে নেব (প্রায় 5cm বা তার বেশী)। এই পেনসিল কম্পাসের কাঁটা B বিন্দুতে বসিয়ে একটি বৃত্তচাপ আঁকবো। যা AB এবং AC কে যথাক্রমে X এবং Y বিন্দুতে ছেদ করেছে। 

    এবারে X বিন্দুকে কেন্দ্র করে, XY এর অর্ধেকের থেকে বেশী (একটু বেশী বড়, পারলে XY এর থেকে বড় হলেও ক্ষতি নেই) ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্তচাপ আঁকিলাম। আবার Y বিন্দুকে কেন্দ্র করে একই ব্যাসার্ধ নিয়ে আর একটি বৃত্তচাপ আঁকিলাম, যা আগের বৃত্তচাপকে Z বিন্দুতে ছেদ করেছে। 

    এখন B, Z যুক্ত করে D পর্যন্ত বর্ধিত করিলাম। তাহলে BZ ই হল ∠ABC এর সমদ্বিখণ্ডক। 

    এই ভাবে নিজে বাড়িতে অনুশীলন করবে। 

Friday, 15 July 2022

ত্রিকোণমিতি, কোণ পরিমাপ

    জ্যামিতিতে কোণ গঠনের সময় দুটি সরলরেখার কথা আমরা শিখেছি। কিন্তু ত্রিকোণমিতির ক্ষেত্রে আমরা একটু অন্য ভাবে ভাববো। 

    প্রথমেই দুটি সরলরেখার জায়গায় আমরা একটি রশ্মির কথা ভাববো। রশ্মিটি যে অবস্থায় রয়েছে, তার প্রান্ত বিন্দুটিকে স্থির করে, রশ্মিটিকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে অথবা ঘড়ির কাটার দিকে ঘোরালে, রশ্মিটির নতুন অবস্থান পূর্বের অবস্থানের সাথে একটি কোণ তৈরি করে। 

    রশ্মিটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরলে, উৎপন্ন কোনটিকে আমরা ধনাত্মক কোণ বলি। আবার রসিটি ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরলে উৎপন্ন কোনটিকে আমরা ঋণাত্মক কোণ বলি।

     এবারে আমরা দেখবো রশ্মিটি আবর্তন করার সময় কেবলমাত্র একবারই আবর্তন করা যাবে, এরূপও নয়। তাই 0° থেকে ছোট কোণ যেমন আমরা পেলাম, তেমনি 360° থেকে বড় কোনো আমরা তৈরি করতে শিখলাম। রশ্মিটি একবার পূর্ণ আবর্তন করলে 360° কোণ উৎপন্ন করবে। 

     আগের দিন আমরা ডিগ্রী এবং গ্রেডিয়ান সম্বন্ধে জেনেছিলাম। আজকে আরও এক প্রকার কোণের একক সম্বন্ধে জানবো। 

    কোন বৃত্তের ক্ষেত্রে ব্যাসার্ধের সমপরিমাণ বৃত্তচাপ কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে 1 রেডিয়ান বলে। 

    আবার অন্যভাবে দেখলে আমরা একটা সুত্র পাব। 
θ = s/r  
যেখানে θ, কোণকে নির্দেশ করে, s, বৃত্তচাপকে নির্দেশ করে এবং r, বৃত্তের ব্যাসার্ধকে নির্দেশ করে। 

     তাই কোন একটি বিন্দুর চারিদিকের সম্পূর্ণ কোণ হিসাব করার সময়ে বৃত্তচাপ হিসাবে আমরা বৃত্তের পরিধিকে নেব। 

    তখন কোণ হিসাবে আমরা 2πr/r বা 2π পাবো। যা আগে থেকে জানা 360° এর সাথে সমান। তাই 
2π = 360° 
বা π = 180° 

    কোণ পরিমাপের যে পদ্ধতিতে কোণ পরিমাপ করার একক হিসাবে রিডিয়ান ব্যবহার করা হয়,  তাকে বৃত্তীয় পদ্ধতি বলে। 

    গতকাল আমরা ষষ্টিক পদ্ধতি ও শতক পদ্ধতি শিখেছিলাম। 

 

দশম শ্রেণীর গণিত বইয়ের এই জায়গায় রয়েছে।