Friday, 20 May 2022

আজব কথা 2022-05-20

    যতদূর মনে পড়ছে, "বাড়িতে লোক পাঠানো" নিয়ে কম শোরগোল হয়নি। সারা জীবন ভালো কাজ করলেও মৃত্যুর আগে বদনাম নিয়েই যেতে হয়েছিল। তবুও সেটা একটা রাজনৈতিক মঞ্চ ছিল। 

আজকে একটা অসাধারণ, অবর্ণনীয় দুঃখের কথা পড়লাম! জানিনা সংবাদমাধ্যম নিজের থেকেই কথাগুলো লিখেছি কিনা! যদি উল্টোটা হয়, তবে তার থেকে বড় দুঃখের আর কিছু হয়না। আদালত সংবিধান আর রাজনৈতিক মঞ্চ একই জায়গা নয়। এটা দুঃখের এইজন্য যে, একজন বিচারপতি শুধু বাড়িতে লোক পাঠানোই নয়, টেনে হিজরে আনার কথা বললেন! একজন মন্ত্রীর কাছ থেকে তার মন্ত্রিত্ব হরণ করার কথা বললেন, শুধুমাত্র এক পক্ষের কথা শুনেই। তবে কি এটা বুঝতে হবে যে বিচারপতিও  রাজনীতির সাথে জড়িত! 

যদিও তার প্রমাণ অনেক পেয়েছি। জানি এই কথাগুলো লেখার জন্য হয়তো আমার বিরুদ্ধেও কেস হতে পারে। কিন্তু বিচারপতি যেখানে নিজের বক্তব্য পেশ এর সুযোগ পান। এবং নির্দ্বিধায় কতকগুলি বাজে কথা বলতে পারেন সেখানে আমি কেন পারব না। আইন তো সবার জন্যই সমান। নাকি অন্য কেউ কিছু বললে তা আইনের চোখে খারাপ, নিজের জন্য ঠিক! 

অথবা আইনজীবী যা খুশি তাই বলতেই পারেন, আমরা তো আইনের কিছু বুঝিনা, তাই আমাদের জন্য সবই বলা বারণ। তোতাপাখির মতো যা শিখিয়ে দেয়া হবে তাই বলতে হবে, অন্যথায় আমাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে! 

কিন্তু যাদের কেসের জন্য, যাদের স্থগিতাদেশের জন্য, এতদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল, তাদের কি হবে? যাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ অন্তত পাঁচ-ছয় বছর পিছিয়ে গেল, তাদের কি হবে? আগের কথা বলতে গেলে, তখন তো কথা বলতেই পারতাম না। বিরোধিতা করা তো দূরের কথা। কারো সাথে দেখা করতে গেলেও বাড়িতে লোক চলে যেত। সেসময়কার কথা হয়তো এখনও সবাই ভুলে যায়নি। তাদের কি হবে? 

আমার বাড়ি থেকে মাঠ পেরিয়ে তিন চার কিলোমিটারও নয়! শুধুমাত্র বিরোধী দলের পতাকা হাতে নিয়েছিল, এই অপরাধে যাদের হাত কাটা হয়েছিল। তারা এখনো দিদির বইয়ের টাকা থেকে সাহায্য পায়। যারা কেটে ছিল, তাদের এখনও দেখতে পাওয়া যায়। 2011 সালে, দিদির কথাকেই মান্যতা দিয়ে সবাই চুপ ছিল। অপরাধীদের(!!!!!) চোখের সামনে দেখতে পেলেও দিদির কথায় ক্ষমা করতে শিখেছিল। 

সেটা 2008 সাল। এতটাই অসহ্য যন্ত্রণা। আমার কথা শুনে হয়তো, আমাকেই দোষারোপ করতে পারে। কারোর বাড়িতে নতুন কোন মেয়ে আত্মীয় এলে, বাড়ির সকলে ভয়ে থাকতো। এই বুঝি এসে বলে গেল! তোর বাড়িতে যে এসেছে, তাকে সন্ধ্যার পর পাঠিয়ে দিস! আমি বলছি, পশ্চিম মেদিনীপুরের, জঙ্গলমহলের কথা। বিশেষ কারণে হয়তো নামগুলো বলতে পারছিনা। কিন্তু যে বা যারা এই কথাগুলো বলে যেত, তারা এখনো আমার সামনে জীবিত। তাদেরই মাঝে মাঝে কেউ কেউ বলে, টিএমসির অত্যাচারে জঙ্গলমহলে ঢুকতে পারছি না! অথচ এখনও তাদের বাড়িতে তাদের বংশধরেরাই থাকেন! 

No comments:

Post a Comment