Sunday, 27 June 2021

পরীক্ষা 6 - 10

6) 
কুন্তলকে নিয়ে ভুলমণ্ডলের হাওয়া খেতে খেতে, 
নদীর পাড় ধরে সুখ ভাবনায় ডুব দিয়ে, 
যতই হারিয়ে যাওয়ার গল্পে, 
অন্য পাড়ে যাও না কেন, 
বাস্তবের ওপারেও যে একই গল্প, তা বুঝতেও যে সময় লাগতে পারে, কৃষ্ণ ঠাকুর নিশ্চয়ই বুঝবেন! 

তবে শকুনির যে মহাভারতে প্রবেশ, এবং তা থেকেই কি ভাইফোঁটা প্রচলন! 
তা কিন্তু চানক্য কেন, 
কেউ, কোনোদিন, প্রশ্ন করার ভুল করেনি! 

ভাবতেই অবাক লাগে, 
আমার প্রতিটি পরীক্ষা, 
কেউ দেখার অপেক্ষায় থাকে! 
যা কিনা সবার কাছে এতদিন, ভুলমণ্ডলের ভুলবকা ছিল! 

তো, ভুল করে হলেও, 
রত্নাকর যে বাল্মীকি হলো, 
এটাই কি পরিবর্তন? 
না কি, সময়ের তালে তাল মিলিয়ে, গা ভাসিয়ে দেওয়ার নাম পরিবর্তন! 
কিংবা লাল না সবুজ, কতখানি গেরুয়া, এটাই পরিবর্তন! 
রাগালে কি রাগে না, না কি, রত্নাই ঠিক বলে! 

সম্পর্কের নাম পরিবর্তন! 

প্রশ্ন থেকেই যায়, সম্পর্ক আর ভুল, দুটো কি আবার ভুলমণ্ডলে ঢুকে পড়ল না তো!!!! 

★★★★★ 

7) 

তাহলে তোমরা ভাই বোনের সম্পর্কের মধ্যেও ভুলের খোঁজ করতে শুরু করে, আসলে, ভুল করেই ফেললে! 
যদি বলতাম, শকুনির মতো মহান, মহাভারতে দুর্লভ! 
নিজের সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে, 
অবশ্যই পুষ্পাঞ্জলি নয়! 
নিজের বাড়ি ঘর ছেড়ে, বোনের সেবায় পরগৃহে পরে রইলে, 
শেষে নিজের পিতৃপ্রদত্ত প্রাণটাকে পর্যন্ত দিলে, 
সবাই তো আর চানক্য নয়, যে বেঁচে থাকবে! 
তখন কি আমায় কেউ ভুল দেখাতে পারে! 

না কি, এর মধ্যে আসলে, অন্য মধু ছিল, যা কিনা, মৌচাকেও দাদামণি জানতো! 
মধু মৌচাকে থাক, বা না থাক,
আর অমানুষে উত্তমকুমারের ঠোঁটে কিশোরকুমার  যতই গান গাক, 
সেজকাকুর দেশে, গ্রাম্য, সরল মধুতে মজেনি, 
এমন বাঙালি পাওয়া দুস্কর! 

★★★★★ 

8) 
এই ধারা এখনও অব্যাহত! 
আসলে আমার কি মনে হয় জানো! 
মধু এমন একটি জিনিস, যা মিষ্টি হলেও, সুগার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে না। আর ভুল করে হলেও, এটা সবাই জানে। 

সেই কারনেই আজও পেপারের খবরে, 
কারোর ফেসবুক প্রোফাইল, কি নামে আপডেট (!!!!!) হলো, তা চোখে পড়ে এবং তা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হয়! 

হয়তো ভুলমণ্ডলে থাকি বলেই, 
বুঝতে পারি না, এতে 'খবর' কোথায়! 

একে বিজ্ঞাপন দেখা, অতি কষ্টে কমিয়েছি, 
তাতেও আবার ব্যাস্ততার ভুল!!!!  

আমি যে সত্যিই ব্যাস্ত, কে বুঝবে! যে একটু আগেই ছেঁড়া সুতার জট ছাড়ানোর মতো শিশুসুলভ খেলায় অংশ নিতে পারে, 
বা চানক্যর ভুল খুঁজতে, দিনের পর দিন কাটাতে পারে, সে যে ব্যাস্ত হতেই পারে না। 

সময় তো আর শুনতে চায় না! 
বিচার ব্যাবস্থায় যে একপক্ষের কথাই শোনা যায়! 
সাক্ষ্য প্রমাণ থাকে, 
কিন্তু আসামীর বয়ান থাকে না!!!! 

★★★★★ 

9)

ফলে যা হবার তাই হয়! 
নতুন করে কাঞ্চনের ঝাঁটাকাঠি মার্কা চেহারাও কাট ছাঁট করার প্রয়োজন হয়ে পরে।

কি আর করা যাবে! 
এটা তো সেই মহাভারতের যুগ থেকে চলে আসছে! 
শকুনির সেবায় ঠিক কতজন দাসী নিয়োজিত ছিল, 
বা হস্তিনাপুর!! থেকে কতজন দাসদাসী বরাদ্দ করা হয়েছিল! 
প্রশ্ন সামনে থাকলেও, 
চানক্যর কাছে যে উত্তর দেওয়ার সময় নেই!
বা ভুলমণ্ডলের সময়ের গাঁটে আটকে যাওয়া! যে যেমন বোঝে!!!! 

মাঝে শুধু কুন্তলের প্রশ্ন, বেড়ে গেছে নাকি! 
এটা শেষ অর্ধেকটা! 

বাড়ালেই হয়তো আমার জন্য ভালো হতো!!!! 

একাধিক বার একই পরীক্ষায় পাশ করার পরও, কেউ যখন সেই পরীক্ষায় বসে, তখন সে প্রিপারেশন ছাড়াই বসতে পারে। তবে প্রিপারেশন নেওয়াতে কেউ আপত্তিও জানাবে বলে মনে হয় না! 

তাই তো ডিম, মুরগীর প্রশ্নের মতো, 
একের মধ্যে তিন, না তিনের মধ্যে এক, 
জিজ্ঞাসা করতে, ভুলমণ্ডলে ঢুকি! 

★★★★★ 

10) 

বাড়ানোর ফল, শরীর ও মনের উপর যে জাঁকিয়ে বসেচে, বেশ বুঝতে পারছি! 

সময়ের গাঁট খোলা, 
আমার কাছে এমনই যে, 
শুধু শেষ কথা, না রাখলেই হল! 

অনেকের কাছে যা সহজে হয়, তা আমার কাছে দুর্বোধ্য তো হতেই পারে! 
তেমনি এটাও তো হতে পারে, 
ধাঁধাটি কেউ বুঝতেই পারলো না! 
বা তাদের না বোঝার বিষয়ে, 
দোষারোপ করার জন্য একজন তো আছেই! 

নিজের অক্ষের সাপেক্ষেও যে গ্রহগুলো ঘোরে, 
সবার জন্য প্রমাণ লাগে না! 
তাইতো কাজের মাঝেও, কাজ ফেলে রেস্ট নিতে হয়! যাতে সময়ের জট সময়ে কাটে!!!! 

হয়তো, 
সকলেই সময়ের দাম বোঝে বলে, 
সময় নষ্টের ভুল করতে চায় না! 
অথবা চানক্য অমর!!!! 
সময় যার কাছে বাধা হয়ে আসতে পারেনি! 

তাইতো, কেউ পড়বে না ধরে নিয়ে, 
ভুল করতেই থাকি এবং ভুলমণ্ডলের  অপেক্ষায় থাকি!!!! 

★★★★★

No comments:

Post a Comment